সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

আমাদের প্রেমময় সৃষ্টিকর্তা আমাদের যত্ন নেন

আমাদের প্রেমময় সৃষ্টিকর্তা আমাদের যত্ন নেন

১. আমাদের সৃষ্টিকর্তা সূর্য ওঠান

সূর্য না থাকলে পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্বই সম্ভব হতো না। গাছ সূর্যের শক্তিকে ব্যবহার করে পাতা, ফুল, ফল, বাদাম ও বীজ উৎপন্ন করে। এ ছাড়া, এই শক্তিই গাছকে শিকড়ের মাধ্যমে মাটি থেকে জল শোষণ করে পাতায় পৌঁছে দিতে এবং সেই জলকে বাষ্প হয়ে বাতাসে মিশে যেতে সাহায্য করে।

২. আমাদের সৃষ্টিকর্তা বৃষ্টিপাত ঘটান

বৃষ্টি হল সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে এক মূল্যবান উপহার, যা পৃথিবীকে আমাদের জন্য খাদ্য উৎপন্ন করতে সমর্থ করে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের আকাশ থেকে বৃষ্টি এবং ফলোৎপাদক ঋতু দেন, যাতে আমরা প্রয়োজনীয় খাদ্য পাই এবং আমাদের হৃদয় আনন্দে ভরে যায়।

৩. আমাদের সৃষ্টিকর্তা খাদ্য ও বস্ত্র জোগান

বেশিরভাগ বাবা তাদের পরিবারের জন্য খাদ্য ও বস্ত্র জোগানোর ব্যাপারে চিন্তিত। লক্ষ করুন, সৃষ্টিকর্তার বাক্য কী বলে: “আকাশের পক্ষীদের প্রতি দৃষ্টিপাত কর; তাহারা বুনেও না, কাটেও না, গোলাঘরে সঞ্চয়ও করে না, তথাপি তোমাদের স্বর্গীয় পিতা তাহাদিগকে আহার দিয়া থাকেন; তোমরা কি তাহাদের হইতে অধিক শ্রেষ্ঠ নও?”—মথি ৬:২৫, ২৬.

“ক্ষেত্রের কানুড় পুষ্পের বিষয়ে বিবেচনা কর, সেগুলি কেমন বাড়ে; . . . তথাপি আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, [রাজা] শলোমনও আপনার সমস্ত প্রতাপে ইহার একটীর ন্যায় সুসজ্জিত ছিলেন না। ভাল, ক্ষেত্রের যে তৃণ . . . , তাহা যদি ঈশ্বর এরূপ বিভূষিত করেন, তবে . . . তোমাদিগকে কি আরও অধিক নিশ্চয় বিভূষিত করিবেন না?”—মথি ৬:২৮-৩০.

যেহেতু সৃষ্টিকর্তা আমাদের খাদ্য ও বস্ত্র জোগাতে পারেন, তাই আমরা নিশ্চিত থাকতে পারি, তিনি আমাদের জীবনের অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো পেতেও সাহায্য করতে পারেন। আমরা যদি সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা পালন করার চেষ্টা করি, তা হলে তিনি খাদ্য পাওয়ার জন্য আমাদের প্রচেষ্টার উপর আশীর্বাদ করতে পারেন কিংবা এমন চাকরি খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারেন, যাতে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারি।—মথি ৬:৩২, ৩৩.

আমরা যখন সূর্য, বৃষ্টি, পাখি ও ফুল নিয়ে চিন্তা করি, তখন সৃষ্টিকর্তাকে প্রেম করার উত্তম কারণগুলো খুঁজে পাই। পরবর্তী প্রবন্ধে আলোচনা করা হবে, আমাদের সৃষ্টিকর্তা কীভাবে মানুষের সঙ্গে ভাববিনিময় করেছেন।