সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

আপনি কি মনে করতে পারেন?

আপনি কি মনে করতে পারেন?

আপনি কি মনে করতে পারেন?

 আপনি কি গত কয়েক মাসের প্রহরীদুর্গ পত্রিকাগুলো মন দিয়ে পড়েছেন? যদি পড়ে থাকেন, তা হলে দেখুন আপনি নিচের এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারেন কি না:

কী ইঙ্গিত করে যে, যিশুর আরও ভাই ও বোনেরা ছিল?

বাইবেলে মথি ১৩:৫৫, ৫৬ এবং মার্ক ৬:৩ পদে তা-ই বলা আছে। এই পদগুলোতে পাওয়া গ্রিক শব্দ (আ্যডেলফোস) “কোনো ধরনের মাংসিক বা বৈধ সম্পর্ককে” ইঙ্গিত করতে ব্যবহার করা হয়েছিল, “[এবং] আপন বা অর্ধভ্রাতাকে বোঝায়।” (দ্যা ক্যাথলিক বিবলিক্যাল কোয়াটারলি, জানুয়ারি ১৯৯২)—১২/১৫, পৃষ্ঠা ৩.

যুদ্ধের ধরন যে পালটে গেছে, তা কীভাবে স্পষ্ট হয় এবং প্রায়ই এটার মূল কারণগুলো কী?

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যে-যুদ্ধগুলো মানবজাতিকে জর্জরিত করছে, তা হল মূলত গৃহযুদ্ধ—যে-যুদ্ধগুলো একই দেশের নাগরিকদের বিরোধী দলগুলোর মধ্যে হয়। এগুলো হওয়ার কয়েকটা কারণ হল জাতিগত ও উপজাতিগত বিদ্বেষ, ধর্মীয় পার্থক্য, অবিচার এবং রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা। আরেকটা কারণ হচ্ছে ক্ষমতা ও অর্থের প্রতি লোভ।—১/১, পৃষ্ঠা ৩-৪.

কীভাবে আমরা জানি যে, যিশু কখনই চাননি যে খ্রিস্টানরা আদর্শ প্রার্থনার কথাগুলো মুখস্থ করে পুনরাবৃত্তি করুক?

যিশু পর্বতে দত্ত উপদেশে এই প্রার্থনার উদাহরণ স্থাপন করেছিলেন। প্রায় ১৮ মাস পরে তিনি প্রার্থনা সম্বন্ধে পূর্বে দেওয়া তাঁর নির্দেশনার অপরিহার্য বিষয়গুলো পুনরাবৃত্তি করেছিলেন। (মথি ৬:৯-১৩; লূক ১১:১-৪) লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে যে, তিনি একেবারে শব্দ ধরে ধরে তা পুনরাবৃত্তি করেননি, যেটা ইঙ্গিত দেয় যে তিনি এমন কোনো গণপ্রার্থনা দেননি, যেটার অর্থ না বুঝে মুখস্থ বলতে হবে।—২/১, পৃষ্ঠা ৮.

জলপ্লাবনের পর, কপোত সেই জিতবৃক্ষের পত্র বা পাতা কোথায় পেয়েছিল, যা সে জাহাজে এনেছিল?

আমরা প্লাবনের জলের লবণাক্ততা অথবা তাপমাত্রা সম্বন্ধে জানি না। কিন্তু জিতবৃক্ষ বা জলপাই গাছকে কেটে ফেলার পরও এটা থেকে নতুন ডালপালা গজিয়ে ওঠে তার জন্য এটা পরিচিত। তাই কিছু গাছ হয়তো জলপ্লাবন থেকে বেঁচে গিয়েছিল আর পরে তাতে নতুন ডালপালা গজিয়ে উঠেছিল।—২/১৫, পৃষ্ঠা ৩১.

নাইজেরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলাকালীন ও সেইসঙ্গে বিয়াফ্রাতে অবরোধ থাকায়, কীভাবে যিহোবার সাক্ষিরা সেই এলাকায় আধ্যাত্মিক খাদ্যের জোগান পেয়েছিল?

ইউরোপে একজন সরকারি কর্মচারীকে নিয়োগ করা হয়েছিল এবং অন্য আরেক জন বিয়াফ্রা বিমান অবতরণ অঞ্চলে কাজ করেছিলেন। দুজনেই সাক্ষি ছিল। তারা বিয়াফ্রাতে আধ্যাত্মিক খাদ্য জোগানোর ঝুঁকি নিয়েছিল আর এভাবে ১৯৭০ সালে যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অনেক ভাইবোনকে উপকৃত করেছিল।—৩/১, পৃষ্ঠা ২৭.

ওয়েস্টফেলিয়ার শান্তি থেকে কী সম্পাদিত হয়েছিল এবং ধর্ম কীভাবে এর সঙ্গে জড়িত ছিল?

সংস্কারসাধন পুরো রোমীয় সাম্রাজ্যকে তিনটে বিশ্বাসে বিভক্ত করেছিল—ক্যাথলিক, লুথারেন এবং ক্যালভিনিস্ট। ১৭ শতাব্দীর প্রথম দিকে প্রটেস্টান্ট ইউনিয়ন এবং ক্যাথলিক লিগ গঠিত হয়েছিল। এরপর বহিমিয়ায় এক ধর্মযুদ্ধ শুরু হয়েছিল এবং তা ক্রমান্বয়ে এক আন্তর্জাতিক ক্ষমতার লড়াই হয়ে ওঠে। ক্যাথলিক এবং প্রটেস্টান্ট শাসকরা রাজনৈতিক আধিপত্য এবং বাণিজ্যিক মুনাফার জন্য কৌশলের আশ্রয় নিত। শেষ পর্যন্ত জার্মানির ওয়েস্টফেলিয়া অঞ্চলে শান্তি চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। এর প্রায় পাঁচ বছর পর ১৬৪৮ সালে ওয়েস্টফেলিয়ার চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়, যা ত্রিশ বছর ধরে চলা যুদ্ধের সমাপ্তি আনে এবং সার্বভৌম রাষ্ট্রগুলোর এক মহাদেশ হিসেবে আধুনিক ইউরোপের সূত্রপাতকে চিহ্নিত করে।—৩/১৫, পৃষ্ঠা ২০-৩.

“ঐ পশুর” ছাপ বা নাম—৬৬৬ সংখ্যার অর্থ কী?

প্রকাশিত বাক্য ১৩:১৬-১৮ পদে এই ছাপের বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে। ওই পশুটা মনুষ্য শাসনকে চিত্রিত করে এবং পশুটার “মনুষ্যের সংখ্যা” বহন করা সরকারগুলোর পতিত মানব অবস্থাকে ইঙ্গিত করে। ৬ এর সঙ্গে ৬০ যোগ করা ও তাতে ৬০০ যোগ করা দেখায় যে, এটা ঈশ্বরের চোখে পুরোপুরি ত্রুটিযুক্ত। যারা এই ছাব বহন করে, তারা রাজনৈতিক সংগঠনকে উপাসনা করার দ্বারা সম্মান দিয়ে থাকে অথবা তারা পরিত্রাণের জন্য এটার ওপরে নির্ভর করে থাকে।—৪/১, পৃষ্ঠা ৪-৭.