সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

পাঠ ৭

ঈশ্বরের রাজ্য কী?

ঈশ্বরের রাজ্য কী?

১. ঈশ্বরের রাজ্য কী?

কোন বিষয়টা যিশুকে একজন আদর্শ রাজা করে তুলেছে? —মার্ক ১:৪০-৪২.

ঈশ্বরের রাজ্য এক স্বর্গীয় সরকার। অন্যান্য সমস্ত সরকারের পরিবর্তে এই সরকার আসবে এবং স্বর্গে ও পৃথিবীতে ঈশ্বরের ইচ্ছা সম্পাদন করবে। ঈশ্বর যে এভাবে তাঁর রাজ্যকে ব্যবহার করবেন, সেটাই হল এক সুসমাচার। শীঘ্র, ঈশ্বরের রাজ্য মানুষের জন্য যে উত্তম সরকারের চাহিদা রয়েছে, তা পূরণ করবে। এই রাজ্য পৃথিবীতে বসবাসরত সকলকে একতাবদ্ধ করবে।—পড়ুন, দানিয়েল ২:৪৪; মথি ৬:৯, ১০; ২৪:১৪.

একটা রাজ্যে অবশ্যই এক জন রাজা থাকতে হবে। যিহোবা তাঁর পুত্র, যিশু খ্রিস্টকে তাঁর রাজ্যের রাজা হিসেবে নিযুক্ত করেছেন।—পড়ুন, প্রকাশিত বাক্য ১১:১৫.

ঈশ্বরের রাজ্য কী? শিরোনামের ভিডিওটা দেখুন।

২. কেন যিশু আদর্শ রাজা?

ঈশ্বরের পুত্র হলেন আদর্শ রাজা কারণ তিনি হলেন দয়ালু, ন্যায়ের প্রতি দৃঢ়। (যোহন ১:১৪) এ ছাড়া, লোকেদেরকে সাহায্য করার ব্যাপারে তাঁর যথেষ্ট ক্ষমতা রয়েছে কারণ যিশু স্বর্গ থেকে পৃথিবীর ওপর শাসন করবেন। তাই, পুনরুত্থিত হওয়ার পর তিনি স্বর্গে আরোহণ করেছিলেন এবং যিহোবার দক্ষিণে বসে অপেক্ষা করেছিলেন। (ইব্রীয় ১০:১২, ১৩) অবশেষে, ঈশ্বর তাঁকে শাসন করার ক্ষমতা দিয়েছিলেন।—পড়ুন, দানিয়েল ৭:১৩, ১৪.

৩. যিশুর সঙ্গে কারা শাসন করবে?

‘পবিত্র প্রজা’ হিসেবে অভিহিত একটা দল স্বর্গে যিশুর সঙ্গে শাসন করবে। (দানিয়েল ৭:২৭) প্রথম পবিত্র প্রজারা হল যিশুর বিশ্বস্ত প্রেরিতরা। যিহোবা আজ পর্যন্ত বিশ্বস্ত নারী ও পুরুষদেরকে পবিত্র প্রজা হিসেবে বাছাই করে আসছেন। যিশুর মতো তারাও আত্মিক দেহে পুনরুত্থিত হয়।—পড়ুন, যোহন ১৪:১-৩; ১ করিন্থীয় ১৫:৪২-৪৪.

কত জন ব্যক্তি স্বর্গে যাবে? যিশু তাদেরকে “ক্ষুদ্র মেষপাল” বলে অভিহিত করেছেন। (লূক ১২:৩২) অবশেষে, তাদের সংখ্যা হবে ১,৪৪,০০০ জন। তারা যিশুর সঙ্গে পৃথিবীর ওপর শাসন করবে।—পড়ুন, প্রকাশিত বাক্য ১৪:১.

৪. যিশু যখন শাসন করতে শুরু করেন, তখন কী হয়?

ঈশ্বরের রাজ্য ১৯১৪ সালে শাসন করা শুরু করে। * রাজা হিসেবে যিশুর প্রথম কাজ ছিল শয়তান ও তার মন্দদূতদের পৃথিবীতে নিক্ষেপ করা। শয়তান প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ হয়ে যায় এবং সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করতে শুরু করে। (প্রকাশিত বাক্য ১২:৭-১০, ১২) সেই সময় থেকে পৃথিবীতে মানুষের দুর্দশা আরও বৃদ্ধি পায়। যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, মহামারী এবং ভূমিকম্প, এই সমস্তকিছু ‘চিহ্নের’ একটা অংশ, যা দেখায় যে শীঘ্র রাজ্য পৃথিবীর বিষয়গুলোকে পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করবে।—পড়ুন, লূক ২১:৭, ১০, ১১, ৩১.

৫. ঈশ্বরের রাজ্য কী সম্পাদন করছে?

বিশ্বব্যাপী প্রচার কাজের মাধ্যমে ঈশ্বরের রাজ্য ইতিমধ্যেই সমস্ত জাতি থেকে আসা লোকেদেরকে বিস্তর লোকের মধ্যে একতাবদ্ধ করছে। লক্ষ লক্ষ নম্র লোক যিশুর প্রজা হয়ে উঠছে। ঈশ্বরের রাজ্য সেই সময় তাদেরকে সুরক্ষা করবে, যখন এটি পৃথিবীর বর্তমান দুষ্ট বিধিব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেবে। তাই, যে-সমস্ত লোকেরা ঈশ্বরের রাজ্য থেকে উপকার লাভ করতে চায়, তাদেরকে যিশুর বাধ্য প্রজা হতে শেখা উচিত।—পড়ুন, প্রকাশিত বাক্য ৭:৯, ১৪, ১৬, ১৭.

১,০০০ বছরের সময়কালে, রাজ্য মানবজাতির জন্য ঈশ্বরের আদি উদ্দেশ্য সম্পাদন করবে। পৃথিবী এক বিশ্বব্যাপী পরমদেশ হয়ে উঠবে। পরিশেষে, যিশু তাঁর পিতার কাছে রাজ্য ফিরিয়ে দেবেন। (১ করিন্থীয় ১৫:২৪-২৬) আপনি কি এমন কাউকে চেনেন, যার কাছে আপনি ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে বলতে চান?—পড়ুন, গীতসংহিতা ৩৭:১০, ১১, ২৯.

 

^ অনু. 6 বাইবেল কীভাবে ১৯১৪ সাল সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্‌বাণী করেছিল, সেই সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনার জন্য বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়? বইয়ের ২১৫-২১৮ পৃষ্ঠা দেখুন।